হিন্দি ওয়েব সিরিজগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় কোটা ফ্যাক্টরি। দুটি সিজন সফল হওয়ার পর মুক্তি পেল তৃতীয় সিজন। পঞ্চায়েত ৩ -এর সাফল্যকে সঙ্গী করেই ফ্যাক্টরি সিজন ৩-এ ওয়েবের দর্শকের মনোরঞ্জনে হাজির জীতু ভাইয়া। ২০ জুন নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেল কোটা ফ্যাক্টরি সিজন ৩। JEE আর NEET-এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য ঠিক কেমন শিক্ষক প্রয়োজন তারই ঝলক ছিল কোটা ফ্যাক্টরি সিজন ৩-এর ট্রেলারে। ছকভাঙা পড়াশোনার বাইরেও যে জীবনের কঠিন পরীক্ষায় জয় করা যায় সেই পাঠই পড়ানোর চেষ্টা করেছেন জীতু ভাইয়া। JEE আর NEET-এর পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ইন্সটিউটগুলো কারি কারি টাকা নিচ্ছে। তবুও অনেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছে না। জীতু ভাইয়ার ছক ভাঙা পড়ানোর স্টাইল আজকের প্রজন্মকে উদ্বুব্ধ করতে পারল?
কোটা ফ্যাক্টরি সিজন ৩-এর গল্প
কোটা ফ্যাক্টরির দ্বিতীয় পর্ব যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকেই শুরু হল তৃতীয় পর্বের গল্প। পরীক্ষার চাপে ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা কিছুতেই সামলে উঠতে পারে না জীতু ভাইয়া। একজন শিক্ষক হিসেবে সবসময় প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে স্বতস্ফূর্তভীবে পড়াশোনা করার পরামর্শ দেন। অন্য স্টাইলে ১৫-১৬ বছরের পড়ুয়াদের সঙ্গে মিলেমিশে পড়ানোর চেষ্টা করে। বন্ধুর মতো সকলের সঙ্গে একাত্ম হতে স্যারের বদলে ভাইয়া ডাকে বিশ্বাসী জীতু। সেই জীতু ভাইয়া আজ নিজেই বড্ড হতাশ। ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় এতটাই ভেঙে পড়েন যে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হয়। ধীরে ধীরে আবার নিজের লক্ষ্যে ফিরে আসেন।
‘কোটা ফ্যাক্টরি সিজন ৩’ পর্যালোচনা
জীতুর চরিত্রটা কিন্তু, কোনওভাবেই মানসিক স্বাস্থ্য বা চিকিৎসকদের সেই বিষয়ে সহায়তা সম্পর্কে দর্শকের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করেনি। তবে আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত বন্ধুকে কী ভাবে সাহায্য করা যায় বা কী ভাবে আমরা অজান্তে কাউকে ছোট মনে করি সেই বিষয়গুলো নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আরওমানুষ একটা বিষয় দেখানো হয়েছে আত্মসম্মান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বিষয়ে ভয় থাকলে সেটাকে কী ভাবে জয় করতে হয় সেই শিক্ষা দেবে কোটা ফ্যাক্টরি সিজন ৩।
জীতু ভাইয়া পড়ুয়াদের পরীক্ষার প্রস্তুতির উপরই ফোকাসে বেশি আগ্রহী। ১৫-১৬ বছর বয়সী পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেকের জীবনেই কিছু না কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সমাধান করা জরুরি। অনেকে বাড়ি থেকে দূরে এসে JEE আর NEET-এর পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়। তাঁদের প্রত্যেকের জন্য জীতু ভাইয়ার মতো একজন শিক্ষকের প্রয়োজন।
গগন স্যারের চরিত্রে অনবদ্য রাজেশ কুমার। তিনি খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়েছেন, পরীক্ষা হল দড়িতে হাঁটার মতো। যদি আপনার চারপাশের অসুবিধাগুলির দিকে মনোযোগ দেন তবে নিশ্চিত যে আপনি পড়ে যাবেন। তবে যদি লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যাওয়া যায় তাহলে গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। সিরিজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুঃখজনক ঘটনাই রয়েছে। হাসি-আনন্দের মুহূর্ত খুবই কম রয়েছে সিজন ৩-এ। নতুন এন্ট্রি হিসেবে তিলোত্তমা সোমের অভিনয়ও প্রশংসনীয়। তবে তৃতীয় পর্ব কোনওভাবেই প্রথম পর্বকে টেক্কা দিতে পারবে না। – এই সময়