গত কয়েক বছর ধরে সাবা আজাদ বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসছেন। কারণ একটাই – সাবা একজন নামকরা ভয়েজ ওভার শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখন ‘হৃত্বিক রোশনের প্রেমিকা’ নামেই বেশি পরিচিত। খবরমাধ্যমে বারবার হৃত্বিককে কেন্দ্র করেই তার উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু আজ সেই সম্পর্কের কারণেই বিপদে পড়েছেন সাবা। না, হৃত্বিক রোশনের সাথে তার সম্পর্কে কোনো সমস্যা নেই। বরং তারা দুজনেই ভালো আছেন। সমস্যা হচ্ছে, হৃত্বিকের সাথে সম্পর্কের জের ধরে সাবার কাজ কমে গেছে।
অকালেই কি লাইমলাইট থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন সাবা? না, খবর থেকে তিনি এখনও সরেননি। তবে কাজ কোথায়? সাবার কাছে নতুন কোনো কাজের অফার আসছে না।
এই প্রসঙ্গে সাবা সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে সমাজ ও সামাজিক মানসিকতার দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, “আমার এক-এক সময় অবাক লাগে এটা ভাবলে যে আজ থেকে আড়াই বছর আগে মাসে ৬ থেকে ৮টা ভয়েজ ওভারের কাজ থাকত, এখন সেখান থেকে কোনও কাজ নেই মাসে। আপনি ঠিকই শুনছেন। আমি কিন্তু কাউকেই বলিনি যে আমি কাজ ছেড়ে দিচ্ছি। আমি কাউকে বলিনি আমার আগ্রহ নেই। আমি আমার পারিশ্রমিক বাড়াইনি। আমার দিক থেকে কোনও পরিবর্তনই হয়নি। আমার কোনও ধারণা নেই। আমি একমাস আগে অবধি কিছু জানতাম না, যতক্ষণ পর্যন্ত না এক পরিচালকের সঙ্গে দেখা করি। তিনি যখন মুম্বইয়ে পা রাখলেন, আমি বাধ্য হয়ে জিজ্ঞেস করে বসি, কেউ কেন আমায় ফোন করে না? কী হয়েছে? তারপর তিনি যা বললেন, আমি শুনে অবাক। বললেন, আমরা ভেবেছিলাম, তুমি হয়তো আর কাজ করতে চাইবে না।”
সাবা আরও লেখেন, “তিনি যথেষ্ট পরিচিত, নামকরা দাপুটে পরিচালক। তবে তিনি মনে করেছিলেন, আমি যার সঙ্গে সম্পর্কে আছি, কারণ নাকি তিনি। অর্থাৎ হৃত্বিক রোশনকে যিনি ডেট করছেন, তাঁর আর চাকরির প্রয়োজন কোথায়?”
সাবার এই অভিজ্ঞতা বলিউডের পুরনো এক রীতিনীতির দিকে আলোকপাত করে। যেখানে একজন নারীর পরিচয় তার পুরুষ সঙ্গীর সাথে সম্পর্কিত হয়ে পড়ে। তার পেশাগত যোগ্যতা বা দক্ষতা গৌণ হয়ে যায়। সাবার এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং বলিউডে নারী শিল্পীদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।