আর পারছেন না সাহেব চট্টোপাধ্যায়। মাস কয়েকের মধ্যে কাছের দুই মানুষকে হারিয়ে কার্যত ভেঙে পড়েছেন তিনি। গত বছর সেপ্টেম্বরে হারিয়েছিলেন বোন পিয়াসী চট্টোপাধ্যায়কে। এর মাস কয়েকের মধ্যে হারিয়ে ফেললেন আরও এক প্রিয়জন, তাঁর দিদি অনিন্দিতা চট্টোপাধ্যায়কে। বোনের বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৩ বছর। ওদিকে দিদির বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন অভিনেতা-গায়কের দিদি। শেষ মুহূর্তেও দিয়ে গিয়েছেন ভালবাসার পাঠ। সেই সব কিছু শেয়ার করতে গিয়েই শোকাতুর সাহেব। একই সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন, কী অসম্ভব মনের জোর ছিল তাঁর দিদি।
সাহেবের কথায়, “দিদি একজন প্রকৃত যোদ্ধা ছিলেন। একসম শেষ অবধি লড়াই করে গিয়েছেন। একটা মানুষের মধ্যে মৃত্যুশয্যাতেও এত ইতিবাচকতা আমি আগে দেখিনি। খুব কষ্ট হচ্ছিল ওর। ভীষণ হাঁপানি হচ্ছিল। ও জানত ওর ফুসফুস আর হৃদযন্ত্র আর সেভাবে সাড়া দিচ্ছে না, তবে তা সত্ত্বেও বারবার বলে গিয়েছে, ‘আমি একদম ঠিক আছি। আমি ভাল আছি।
তোরা ভাল থাকিস।” সাহেব যোগ করেন, “চিকিৎসকেরা যখন ওকে ফিরিয়ে আনার বারংবার চেষ্টা করছিলেন,বাইপ্যাপ যন্ত্রও ওকে থামাতে পারেনি। ও ওর শেষ গানটা গাইছিল, খবরের কাগজে ধাঁধার উত্তর খুঁজে বের করছিল। দিদি আসলে চলে যাওয়ার সময় শিখিয়ে দিয়ে গেল ইতিবাচক কীভাবে থাকতে হয়। আমি আর পারছি না। দিদি, তোমায় অন্তর থেকে মিস করছি আমি। হ্যাঁ, প্রতিজ্ঞা করছি, আবার আমাদের দেখা হবেই।”
সাহেবের এই কঠিন সময়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন আত্মীয়-বান্ধব ও ভক্তরা। পরপর দু’ দু’টি মৃত্যু। যে ভাবেই হোক, অভিনেতা যাতে এই সময় কাটিয়ে উঠতে পারেন সেই প্রার্থনাই করছেন তাঁরা।