বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সংসার ভাঙলো দুবাইয়ের রাজকুমারীর। মরু শহরের শাসকের মেয়ে শেখ মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ইনস্টাগ্রামে একটি বিস্ফোরক পোস্টে তালাক-এর ঘোষণা দিলেন। দু-মাস আগেই মা হয়েছেন মাহরা, অথচ স্বামী ডুবে রয়েছেন অন্য নারীদের নিয়ে। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল মাহরার।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টেই তিনিই স্বামীকে ‘তালাক’ দিলেন। সেখানে লেখা, ‘প্রিয় স্বামী, যেহেতু আপনি অন্যান্য সঙ্গীদের সাথে ব্যস্ত আছেন, তাই আমি এতদ্বারা আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা করছি। আমি তোমাকে তালাক দিলাম, তোমাকে তালাক দিলাম এবং তোমাকে তালাক দিলাম। যত্ন নিও। পোস্টের শেষে দুবাইয়ের রাজকন্যা লেখেন, ‘ ইতি তোমার প্রাক্তন স্ত্রী।’
ইনস্টাগ্রাম থেকে স্বামীর সঙ্গে সমস্ত ছবিও মুছে ফেলেছেন মাহরা। গত বছরের মে মাসে তিনি আমিরাতি ব্যবসায়ী শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ বিন মানা আল মাকতুমকে বিয়ে করেন। একই রাজপরিবারের সদস্য রশিদ। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। এক বছর পর তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। বছর কুড়ির শেখ মানার একাধিক ব্যবসায়িক উদ্যোগ রয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসে দুবাইয়ের রাজকুমারী সন্তান প্রসবের কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল থেকে ছবি প্রকাশ করেছিলেন। সেই সময় মাহরার পাশেই দেখা মিলেছিল স্বামীর।
দেখে নিন রাজকুমারীর সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্ট:
নিকাহ অনুষ্ঠানের পাঁচ মাস পর দুবাইয়ের রাজকন্যা তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানের একটি ছবি শেয়ার করে শেখ মাহরা লিখেছিলেন, ‘শুধু আমরা তিনজন…’।
জুন মাসে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি তার স্বামী ছাড়া তার সন্তানের সাথে একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন। ক্যাপশনে শেইখা মাহরা লিখেছেন, ‘শুধু আমরা দুজন। তারপর থেকেই বিচ্ছেদ জল্পনা দানা বাঁধছিব।
কে এই শেইখা মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম?
শেখ মাহরার বাবা শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দুবাইয়ের শাসকের ২৬ সন্তানের একজন শেইখা মাহরা। তার মা জো গ্রিগোরাকোস গ্রিস থেকে এসেছেন বলে তার আমিরাতি এবং গ্রিক শিকড় রয়েছে। দুবাইয়ের শাসক মাহরার মা-কে তালাক দিয়েছেন, তবে মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ডিং মাহরার। শুধু রূপবতী নন, গুণবতী দুবাইয়ের রাজকন্যে। লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ঘোড়সওয়ারি থেকে শুরু করে ফ্যাশন ব়্যাম্প সবেতেই সিদ্ধহস্ত তিনি।
মাহিরার এই পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। যদিও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, এইভাবে আদৌ তালাক দেওয়া যায় কিনা। স্ত্রীর এই ইনস্টা-তালাক কি মেনে নেবেন রশিদ? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সকলে। তবে এখনও মুখ খোলেননি দুবাইয়ের শাসকের জামাই।