ঢালিউডের জনপ্রিয় আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে রাতযাপনের প্রমাণ মেলায় চাকরি হারাচ্ছেন আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন। ইতোমধ্যে তাকে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নায়িকা পরীমনি। সাকলায়েন ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার বলে দাবি করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে পরীমনি বলেন, সাকলায়েনের জন্য খুব খারাপ লাগছে। সে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার। প্রেম-ভালোবাসা যা-ই হোক না কেন, এটা শুধু একটা অদ্ভুত কারণ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে।
‘সাধারণত যে ট্যালেন্ট, সফল হয়-তার পেছনে অনেকেই লেগে থাকে। এটা নতুন কিছু না। নিঃসন্দেহে সাকলায়েন একজন ট্যালেন্ট ও সফল মানুষ, ওর পেছনেও অনেকে হয়তো লেগেছিল। তার এখনকার বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। সাকলায়েনের প্রতি নিঃসন্দেহে অন্যায় হয়েছে।’
পরীমনি আরও বলেন, যদি আমার সঙ্গে কোনো সম্পর্কের কারণে এমনটা হয়েছে বলা হয়, তা তো নিঃসন্দেহে অন্যায়। কোনো সম্পর্কের জন্য এটা হতেই পারে না। তবে আমাদের সম্পর্কটা কেমন, কতটুকু আগাইছে, কী আগাইছে, কোথায় থেমেছে এই সম্পর্ক-কিছুই বলতে পারব না। কিছু বলার আগে এত বেশি দোষ আসলে ঘাড়ে নিয়ে ফেলছি, তাই এখন বলার ইচ্ছাও নেই।
সাকলায়েনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে নায়িকা বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কটা তো মানুষের কাছে ক্লিয়ার নয়। আমরা প্রেমে ছিলাম, নাকি কী করেছি, কোনো কিছুই ক্লিয়ার নয়। এটা না সাকলায়েনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, না আমার কাছে। সবখানে মনগড়া জিনিস লেখা হয়েছে, জানাজানি হয়েছে। এটা যদি ঠিকঠাকভাবে জানতে হয়, দুই পক্ষ থেকেই জানতে হবে। যেহেতু তার বিষয়েও আমি এখন পর্যন্ত কিছু বলিনি, আমার বলার মতো পরিস্থিতি আসেও নাই বা আমি কোনো রকম বাধ্যও হইনি।
‘তবে যদি এ রকম মনে হয়, আমাকে নিয়ে কথা বলছে, আমাকে অপরাধী বানাচ্ছে, তারপর আমি কথা বলব। আমার মনে হয় না, সে কোনোরকম এ ধরনের কথা বলবে। কারণ, পুরো বিষয়টির মধ্যেই আমি নেই। কারও হয়তো কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সাকলায়েনের সঙ্গে এমনটা হচ্ছে, এটা হলে সে দোষ তো আর আমি নেব না।’
২০২১ সালের ৯ জুন রাতে সাভার থানার ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৪ জুন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন নায়িকা পরীমনি। সেই মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ছিলেন সাকলায়েন। পরীমনির সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ ওঠার পর তাকে বদলি করা হয়েছিল এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল।
পরীমনির বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৮ জুলাই নাসির উদ্দিন মাহমুদ হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। ২০২১ সালের ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে তাকে বিদেশি মদসহ গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় তিন দফায় মোট সাত দিন তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গ্রেফতারের ২৭ দিন পর ১ সেপ্টেম্বর পরীমনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন।
পরীমনির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সময় সাকলাইন গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের এডিসির দায়িত্বে ছিলেন। – যুগান্তর