রক্তপাত, সহিংসতা এবং রোম্যান্স… এই তিনটি বিষয় নিয়ে তৈরি ওয়েব সিরিজ মির্জাপুর ৩। তবে দুটি সিজন মুক্তির পর অবশ্য সিজন ৩ আসতে অনেকটা সময় লেগেছে। কিন্তু, এখন এই সিরিজটি অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়োতে মুক্তি পেতেই ভক্তদের মধ্যে আলাদা ভালোলাগা বলা চলে। মানুষের মনে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যাঁরা ইতিমধ্যে ‘মির্জাপুর’ দেখেছেন তাঁরা আগামী মরসুমের অপেক্ষাও শুরু করেছেন।
তবে যারা এই সিরিজটি দেখেননি তারাও মির্জাপুর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এহেন পাগলামো দেখে খানিক অবাক বলা চলে। অনেকেই জানতে চান ‘মির্জাপুর‘ ছবির গল্পটি আসলে কি কোনও বাস্তব ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত? এই ওয়েব সিরিজটি কি পরিবারের সঙ্গে বসে দেখা যাবে? এছাড়াও, যাদের অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়োর সাবস্ক্রিপশন নেই, তারা কী ভাবে বিনামূল্যে এই সিরিজটি দেখতে পাবেন?
নিবন্ধসূচি
মির্জাপুরের গল্প আসলে কী?
পূর্বাঞ্চলের মির্জাপুর শহরের অখণ্ডানন্দ ত্রিপাঠি ওরফে কালিন ভাইয়া ছদ্মবেশে মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা চালান। তাঁর একমাত্র উত্তরাধিকারী মুন্না ভাইয়া আর নেই। তবে মির্জাপুরের সিংহাসন দখলের জন্য অনেকের চোখ রয়েছে। কেউ যদি মনে করে যে এই গল্পটি একটি সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত তবে এটা একেবারেই ভুল, কারণ ‘মির্জাপুর’-এর গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। এমনকী এই ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর শহরে নয়, বারাণসীতে হয়েছে।
পরিবারের সঙ্গে দেখা যাবে?
কেউ যদি ‘মির্জাপুর’ দেখে থাকে, তাহলে বুঝতেই পারবে, বাবা-মায়ের সামনে এই সিরিজটি দেখতে পারা যাবে কিনা। এমনও নয় যে এটি একটি প্রাপ্তবয়স্ক সিরিজ। তবে এই সিরিজে এমন অনেক দৃশ্য রয়েছে, যা পরিবারের সঙ্গে দেখতে মানুষ বিরক্ত হবে বলা চলে। এই সিরিজে বীনা ভাবীর (রসিকা দুগ্গল) অনেক অন্তরঙ্গ দৃশ্য রয়েছে। গুড্ডু পণ্ডিতেরও (আলি ফজল) এমন অনেক দৃশ্য রয়েছে। সিজন ৩-এ এমন দৃশ্য দেখা থেকে বিরত থাকেননি তিনি। এছাড়া এই সিরিজে অনেক গালিগালাজ আছে। তাই পরিবারের সঙ্গে বসে দেখার ক্ষেত্রে একটু ভেবে দেখা উচিত।
যদি ‘মির্জাপুর’ বিনামূল্যে দেখতে চান, তাহলে গুগলে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়োর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে এক মাসের বিনামূল্যে ট্রায়াল নিতে পারেন। এই সুবিধার মাধ্যমে, আপনি শুধুমাত্র ‘মির্জাপুর ৩’ নয়, এর প্রথম দুটি সিজনও বিনামূল্যে দেখতে পাবেন।
মির্জাপুর ৩ এর কাহিনি
‘মির্জাপুর ৩’ এর গল্প শুরু হয় যেখানে দ্বিতীয় সিজন শেষ হচ্ছে সেখান থেকেই। গুড্ডু ভাইয়া এখন একজন পেশাদার গ্যাংস্টার হয়ে উঠেছে। এবং তার চারপাশে বন্ধুর চেয়ে বেশি শত্রুবাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেহেতু মুন্না ভাইয়াকে হত্যার পর গুড্ডুর প্রতিশোধ শেষ হয়েছে, তাই প্রশ্ন উঠেছে কে বসবে মির্জাপুরের সিংহাসনে? যদিও কালিন ভাইয়া বর্তমানে চেয়ারে বসে রয়েছেন। তবে এখানেও রয়েছে টানটান রহস্য, যা জানতে হলে পুরো সিরিজটি দেখতে হবে।