অস্ট্রেলিয়ান বিখ্যাত হলিউড তারকা ক্রিস হেমসওর্থ অভিনয় শুরু করেছিলেন বাবার আর্থিক ঋণ পরিশোধে সাহায্য করার জন্য। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল ৯ ও ওটিটি প্লাটফর্ম ডিজনির জন্য নির্মিত ‘লিমিটলেস’ ধারাবাহিক তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে এ কথা বলেন ক্রিস।
‘থর’ বা ‘গড অব থান্ডার’ দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হলিউড তারকা ক্রিসের অভিনয়, চরিত্র ও সুঠাম দেহের ভক্ত বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশে তাঁর আরও পরিচিতি রয়েছে হলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমা ‘এক্সট্র্যাকশন’–এর কারণে।
নেটফ্লিক্সের সিনেমার প্রেক্ষাপট ছিল বাংলাদেশ। মানুষের শরীর কতটুকু ধকল সহ্য করতে পারে, এ-ই নিয়ে নির্মিত হয়েছে নতুন তথ্যচিত্র ‘লিমিটলেস’। যেখানে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ক্রিস।
ক্রিস বলেন, ‘আমার মনে আছে, আমি যখন প্রথম অভিনয় শুরু করি, তখন আমার মা-বাবার কাছে খুব কম টাকা ছিল। একদিন আমার বাবার সঙ্গে কথা বলছিলাম যে তিনি কবে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। তিনি বলেছিলেন, ‘কখনোই না, আমরা এই ঋণ পরিশোধ করতে করতেই মারা যাব।’
তাঁর সেই কথা খুব অল্প বয়সেই আমাকে খুব ভাবিয়ে তুলেছিল। আমি সত্যি বলছি, আমি আমার মা–বাবাকে এই ঋণ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অভিনয় শুরু করেছিলাম।’
২০০২ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে অভিনয় শুরু করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত হলিউড অভিনেতা ক্রিস হেমসওর্থ। ২০০৯ সালে বিখ্যাত ‘স্টার ট্র্যাক’ সিনেমায় অন্যতম চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে খ্যাতি পান তিনি।
ক্রিস হেমসওয়ার্থ। রয়টার্স
তবে ২০১১ সালে মার্বেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের ‘থর’ সিনেমার প্রধান চরিত্র হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে সারা বিশ্বে পরিচিতি পান ক্রিস এবং হয়ে উঠেন হলিউডের জনপ্রিয় তারকা।
একটি ভাল মানুষের কাজ।